শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৬:৩৩

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ

ঝালকাঠির তামান্না এখন বিসিএস ক্যাডার

dynamic-sidebar

ইচ্ছা আর চেষ্টা থাকলে মানুষের কাছে অসম্ভব বলে কিছু নেই। তারই প্রমাণ দিলেন ঝালকাঠির স্পিডবোট চালকের মেয়ে কামরুন্নাহার তামান্না।

দরিদ্র ঘরে জন্ম নেয়া তামান্না দারিদ্র্যতার সঙ্গে যুদ্ধ করে পৌঁছে গেছেন জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্যে। খেয়ে না খেয়ে দারিদ্র্যতার সঙ্গে লড়ে তামান্না এখন বিসিএস ক্যাডার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রেজওয়ানা আক্তার তন্নী, কামরুন্নাহার তামান্না, শামসুন্নাহার রিমি তিন বোন। তাদের কোনো ভাই নেই। তামান্না বোনদের মধ্যে মেজ।

ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয় থেকে ২০০৮ সালে জিপিএ ৪.৮১ পেয়ে এসএসসি এবং ২০১০ সালে ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজ থেকে জিপিএ ৪.৫০ পেয়ে এইচএসসি উত্তীর্ণ হন।

এরপর পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে কৃষি বিষয়ে অনার্সে ভর্তি হয়ে ২০১৫ সালে জিপিএ ৩.৮৬ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ওই বছর কৃষিতত্ত্ব বিষয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হয়ে জিপিএ ৩.৮৮ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কামরুন্নাহার তামান্না কৃষি ক্যাডারে নিযুক্ত হয়েছেন।

তার বাবা আব্দুল আজিজ হাওলাদার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্পিডবোট চালক। মা লাইজু বেগম গৃহিণী। শহরের কৃষ্ণকাঠি ওয়ার্ডের গুরুধাম এলাকায় বসবাস তাদের।

তার এ সফলতার জন্য মা-বাবার চেষ্টা ও অনুপ্রেরণাই একমাত্র অবলম্বন বলে জানান তামান্না। তিনি বলেন, আমরা তিন বোন, কোনো ভাই নেই। আমরাই বাবা-মার একমাত্র অবলম্বন।

স্বল্প আয়ের বাবার খরচে তিন বোনের পড়াশোনা ও সংসার চালানোয় টানাপোড়েনের কারণে প্রতিবেশীরা অনেকে কটাক্ষ করত। ‘মেয়ে হওয়া দুর্বলতা নয়, শক্তি’ এ দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এবং আল্লাহর রহমতে সফলতায় পৌঁছতে সক্ষম হয়েছি।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্পিডবোট চালক আব্দুল আজিজ হাওলাদার বলেন, ১৯৮৭ সালের জুলাই মাসে ৭০ টাকা মূল বেতনে চাকরি নিই। ১৯৮৮ সালে বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করি।

চাকরির সুবাদে আমাকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সময় পার করতে হয়েছে। অনেক কষ্ট করে, খেয়ে না খেয়ে মেয়েদের মানুষ করার চেষ্টা করছি। বড় মেয়ে তন্নিকে ইতালি প্রবাসী ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছি।

মেজো মেয়ে তামান্না আর ছোট মেয়ে রিমি বরিশাল ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা করছে। মেয়ে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এটাই আত্মতৃপ্তি বলে সন্তোষ প্রকাশ করেন তামান্নার বাবা আব্দুল আজিজ হাওলাদার।

প্রসঙ্গত, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হলরুমে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তামান্নাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন মাতব্বর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. জাকির হোসেন, মো. মানিকহার রহমান, মো. সাইদুজ্জামান ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতাহার আলী মিয়া।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net